• লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য
  • বিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

    শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। একটি শক্তিশালী ও প্রগতিশীল জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তর, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি স্থাপন করে। এই স্তরের বিদ্যালয়ের কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন থেকে শুরু করে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

    প্রথমত, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন এবং বিভিন্ন দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা। এখানে বিজ্ঞান, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ভাষা ও সাহিত্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক ধারণা তৈরি হয়। শুধু মুখস্তনির্ভর শিক্ষাই নয়, বরং শিক্ষার্থীরা যাতে অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন দক্ষতা যেমন - সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মতো অত্যাবশ্যকীয় গুণাবলী অর্জনে উৎসাহিত করা হয়।

    দ্বিতীয়ত, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঠিক আচরণ ও মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো। নিয়মানুবর্তিতা, দায়িত্ববোধ, সহনশীলতা এবং অন্যের প্রতি সম্মান দেখানোর মতো গুণাবলী ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোথিত করা হয়। এর মাধ্যমে তারা একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। একইসাথে, শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটানো এবং তাদের আগ্রহ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করাও এই স্তরের শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। পাবলিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত প্রস্তুতি গ্রহণে বিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    তবে মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য কেবল শ্রেণীকক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত করা হয়, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও, সামাজিক ন্যায়বিচার, সাম্য, সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মতো সামাজিক মূল্যবোধের উন্মেষ ঘটানো হয়, যা একটি সুস্থ সমাজ গঠনে অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলা এবং তাদের ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়তা করাও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

    বর্তমান যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক ও কার্যকর ব্যবহারে উৎসাহিত করে, যা তাদের জ্ঞানার্জনের দিগন্তকে প্রসারিত করে এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করে।

    পরিশেষে বলা যায়, বিদ্যালয়ের লক্ষ্য কেবল কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান দান করাই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের এমনভাবে প্রস্তুত করা যাতে তারা জ্ঞান, দক্ষতা, উন্নত মূল্যবোধ এবং সামাজিক সচেতনতা নিয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং দেশের উন্নয়নে মূল্যবান অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এই লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সরকার সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

     

    • সভাপতির বাণী
  • টি ,এম মোশাররফ হোসেন
    বিস্তারিত
    • প্রধান শিক্ষকের বাণী
  • শেখ মাকসুমুল হাকিম শাহিন
    বিস্তারিত
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংক
    • অফিসিয়াল ফেইসবুক
    • ভিডিও
    • এডমিন লগইন
    All Right Reserved @ 2023. Design & Developed by MR Technology