- শেখ মাকসুমুল হাকিম শাহিন

শিক্ষা মানব জীবনের একটি ধারাবাহিক চলমান প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার ভবিষ্যৎ জীবনে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সক্ষম হয়। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে সে মানব কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে সর্বদা সচেষ্ট হয়। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এ দিকটি অনেকটাই অনুপস্থিত। আর এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করেছে। এর মূল লক্ষ্য হলো একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সামাজিক ও নৈতিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটিয়ে ও মেধার বিকাশ সাধন করে সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমান প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শুধুমাত্র লিখিত চূড়ান্ত পরীক্ষার উপর নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর সার্বিক মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি এমন একটি কার্যকরী পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর বিভিন্নমুখী দক্ষতা যাচাই করা সম্ভব।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি শিক্ষাদান এবং গ্রহণ প্রক্রিয়াকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, ডিজিটাল কনটেন্ট, ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড এবং অন্যান্য আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয়, সহজলভ্য এবং কার্যকর করে তোলা সম্ভব। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের দিগন্তকে প্রসারিত করতে, শিক্ষকের সাথে তাদের মিথস্ক্রিয়া বাড়াতে এবং দূরবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাছেও মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দিতে সহায়ক হতে পারে।
আমি আশা করি সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।